আমি তোমার হাতে চাঁদ এনে দিতে পারবো না,
এনে দিতে পারবো না চুরি যাওয়া কোহিনূর।
আমি এসব বড় বড় ওয়াদা করবোনা কখনো,
বরং আমি এর চেয়েও ভালো কিছু পারবো।
যখন দুঃখ-কষ্ট-বেদনারা এসে কড়া নাড়বে তোমার দুয়ারে,
আমি গিয়ে দরজা খুলে দেবো,
একথা সেকথায় ভুলিয়ে বলবো তুমি আজ বাসায় নেই।
কিন্তু নাছোড়বান্দাগুলো তাও যদি ফিরে যেতে না চায়,
তখন আমি তাদের ভিতরে এসে বসতে বলবো।
তারপর রান্নাঘরে ছুটে গিয়ে চা বসাবো
লিকারে মিশিয়ে দেবো বিশ্বাসের কড়া রঙ,
আস্থায় ভরপুর মিষ্টতা দেবো ছড়িয়ে,
ভালোবাসার শুভ্রতাও জড়িয়ে যাবে অনেকখানি।
ওদের হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দিতেই তুমিও এসে হাজির,
ওরা আপাতত চায়ে ব্যস্ত, তোমাকেও দেবো এককাপ,
তুমি ওই ভালোবাসা আর বিশ্বাসের কাপে চুমুক দিয়েই চোখ তুলে চাইবে,
তোমার মহাসমুদ্র চোখের ছলছল মায়াবী জলে আমার প্রতিচ্ছবি,
আমরা একে অন্যকে দেখবো অপরের চোখের মাঝে,
আমার চোখে তুমি দেখবে তোমার অনন্তকালীন আশ্রয়,
তোমার জন্য অটুট ভরসার বিশ্বাসে ভরা ভালোবাসা।
আমাদের চোখজুড়ে থাকা ভালোবাসার দৃঢ়তা দেখবে ওই দুঃখ কষ্টেরাও,
ওরা দেখে একে অন্যকে বলে উঠবে চলো চলো আজ চলে যাই,
পরে কখনো আবার আসবো আমরা।
আমরা তাদের হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে দরজা লাগিয়ে নেবো,
আর ফিরে যাবো আমাদের নিজস্ব দুনিয়ায়।
যেখানে আমরা একে অন্যকে আকাশের চাঁদ এনে দিতে পারবোনা,
কিন্তু দিতে পারবো এক আস্থা আর ভরসা অনন্য আশ্রয়,
যেখানে কোনো দুঃখ-কষ্ট-বেদনার ভয় থাকবে না,
বরং ওদের সাথে বসে এককাপ কড়া রঙা চা খাওয়া যাবে হাসিমুখে।